মেরুদন্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট, স্নায়ু, হাড়, জোড়া, তরুণাস্থি বা ডিস্কের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার জন্য কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। অন্য রোগের লক্ষণও প্রকাশ পেতে পারে কোমর ব্যথা হিসেবে। এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে যে কোনো বয়সের যে কেউ। বলা হয়, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয়।
কীভাবে এই ব্যথা থেকে দূরে রাখবেন নিজেকে?
- প্রথমত এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না।দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে না থেকে, আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা পর পাঁচ মিনিট চলাফেরা করে আবার বসা।
- কম্পিউটারে কাজ করার সময়, কিছুক্ষণ পর পায়চারি করে আবার একটু কাজ করতে বসা। জায়গা ছেড়ে মাঝে মাঝে উঠে পড়ুন।মাটিতে বসে কাজ করবেন না।
- নরম মেট্রেস বা ফোমের বিছানায় শোবেন না।
আরেকটি বিষয় হলো আমাদের কোমরের পেশির কিছু ব্যায়াম আছে। এগুলো করলে অনেকটাই সুস্থ থাকা যায়।
এই সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কনজারভেটিভ চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়। ওষুধ, বিশ্রাম , জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও ব্যায়ামের মাধ্যমে অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে যায়। এরপরও যাদের ভালো না হয়, তাদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারভেনশন চিকিৎসা। খুব কম সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে।
*উল্লেখ্য ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কখনই ব্যথার ওষুধ খাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না।
ডাঃ চৌধুরী ইকবাল মাহমুদ
আর্থোস্কপি, হাঁটু ও এক্সিডেন্ট বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক অর্থোপেডিক সার্জারি
বিএসএমএমইউ (পিজি হাসপাতাল)